নারীদের একটি বিব্রতকর সমস্যা, সমাধানের ৫ উপায়
নারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় সমস্যার মুখোমুখি হন। কখনো হয়তো মুখ ফুটে কাউকে বলে সেগুলো সারানোর ব্যবস্থা করেন, আবার কখনো হয়তো অজানাই থেকে যায় সেগুলো। তেমনই একটি বিব্রতকর সমস্যা হলো 'ভ্যাজাইনাল ওডোর'। আজ আমরা সেটি দূর করার ব্যাপারেই বিস্তারিত কথা বলবো-
প্রত্যেক ভ্যাজাইনারই নিজস্ব একটি গন্ধ আছে। কিন্তু আপনি যদি কখনো অনুভব করেন যে বেশ দুর্গন্ধ কিংবা অসহ্য এক ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে, তাহলে সেটি অবশ্যই কোন সমস্যা কিংবা রোগের লক্ষণ। শুধু দুর্গন্ধই নয়, এর সাথে সাথে ইচিং, জ্বালাপোড়া ভাব এবং সাদা স্রাব ও নির্গত হতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে, আপনার যদি শুধুমাত্র ভ্যাজাইনাল ওডোর থাকে তাহলে সেটি খুব একটা বিপজ্জনক নয়।
প্রত্যেক সমস্যার পেছনেই তার সমাধান বিদ্যমান। এ সমস্যার কয়েকটি ঘরোয়া সমাধান নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
ভ্যাজাইনা সম্পূর্ণ পরিষ্কার রাখুন
গোসলের সময় শুধুমাত্র পানি দিয়েই ওই অঙ্গটি পরিষ্কার করুন। কোন রকম সাবান, শ্যাম্পু কিংবা যেকোন তরল দিয়ে জোর পূর্বক পরিষ্কার করার কোন দরকার নেই। এতে করে ভ্যাজাইনায় অবস্থান করা স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া গুলোও অপসারিত হয়ে যাবে। সেটি নিঃসন্দেহে আপনার জন্যে ক্ষতিকর। সুতরাং, পানি দিয়েই যেকোন ধরনের মৃত কোষ, ঘাম কিংবা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।
শুধুমাত্র বাহ্যিক ডিওডোরাইজিং সামগ্রী ব্যবহার করুন
আপনি যদি নিতান্তই কোন স্প্রে কিংবা পারফিউম ব্যবহার করতে চান, সেটি ভ্যাজাইনার বাইরের দিকে ব্যবহার করুন। কোনভাবেই যেন সেগুলো ভেতরের দিকে প্রবেশ না করে।
অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন
আপনি যদি স্যাটিন, সিল্ক কিংবা পলিস্টার অন্তর্বাসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে সেগুলো ব্যবহার করা যত দ্রুত সম্ভব কমিয়ে ফেলুন। একদম পিউর সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। সেক্ষেত্রে আপনার ভ্যাজাইনা সুস্থ থাকবে এবং নিঃশ্বাস নিতে পারবে ভালো মতন।
ভিনেগার ব্যবহার করুন
ঘন ঘন হট বাথ এবং গরম পানিতে গোসল আপনার ভ্যাজাইনার ন্যাচারাল পিএইচ ব্যালান্স ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেক্ষেত্রে একটি গামলায় এক-দু'কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ঢালুন এবং বিশ মিনিট সেখানে বসে আরাম করুন। ভিনেগার ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করবে।
পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন চার-ছয় ঘণ্টা পর পর বদলে ফেলুন
চার-ছয় ঘণ্টা পর পর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলে ফেললে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের পরিমাণ কমে যাবে। এবং সাথে সাথে দুর্গন্ধ হওয়ার ও কোন অবকাশ থাকবে না। এটি নিয়মিত একটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন।
সমাধানগুলো কিন্তু বেশ সহজ ও সাধারণ। নিয়ম করে এগুলো অনুসরণ করতে থাকলে আপনি খুব সহজেই বিব্রতকর এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে দিন যাপন করতে পারবেন। শুভকামনা রইলো।
Comments
Post a Comment