কল ড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতি বছরে সাড়ে ৩শ` কোটি টাকা
মুঠোফোনে কল ড্রপের কারণে প্রতিবছর গ্রাহকদের ৩শ` ৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১১ কোটি ৭০ লাখ। এরমধ্যে প্রতিদিন কল ড্রপ হয় ১ কোটি ৬০ লাখ মিনিট। সর্বনিম্ন কল রেটের মূল্য ৬০ পয়সা ধরলে প্রতিদিন কল ড্রপের কারণে গ্রাহকের ক্ষতি হয় ৯৬ লক্ষ টাকা। যা মাসিক আকারে দাঁড়ায় ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, মুঠোফোনের কল ড্রপ একটি অনিয়ম হলেও সংশ্লিষ্ট অপারেটররা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ খাতে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বার বার কল ড্রপ বন্ধ ও গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও আজ অবধি কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি গ্রাহকরা।
বিটিআরসি থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল মার্চ মাস থেকে মুঠোফোন অপারেটরা ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। কিন্তু সেই নির্দেশনাও উপেক্ষিত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতেও কল ড্রপের ক্ষতিপুরণ তাৎক্ষণাত পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এর কোন বালাই নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফোনে কথা বলার সময় কথা ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসে। ফলে গ্রাহকগণ বার বার কল কেটে নতুন করে কল দিতে বাধ্য হয়। এতেও গ্রাহকদের ব্যয় বৃদ্ধি পায়।
বলা হয়, রেলওয়ের লোকসান বৎসরে ৯শ’ কোটি টাকা হলেও বিনা অর্থে রেলওয়ের ফাইবার অপটিক গ্রামীণফোনকে প্রদান করা হয়েছে। অথচ রেলে ভ্রমণের সময় মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। গ্রামীণফোন এই ফাইবার অপটিক ব্যবহার করে থ্রী-জি ব্যবসা করে যাচ্ছে।
Comments
Post a Comment