পর্ণো আসক্তি থেকে মুক্তি লাভের সহজ কয়েকটি উপায়
আমরা পর্ণ দেখিনা এমন পুরুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এখন পর্ণ দেখাটা আমাদের কাছে ভীষণ স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে গেছে।আর এ প্রজন্মের তরুন তরুনীদের পর্ণগ্রাফির প্রতি আসক্তি এক ভয়াল নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।বারো তেরো থেকে শুরু করে অনেক মধ্য বয়সী পুরুষও পর্ণগ্রাফি আসক্তিতে ভুগছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পর্ণগ্রাফি আসক্তিকে তেমন ক্ষতিকর নয় ব্যাখ্যা দিলেও এরও বেশ কিছু খারাপ দিকও আছে।নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই আমরা নিজেদের অনেক ক্ষতি করে ফেলছি ।যে ক্ষতি জন্য লাইফে অনেক সমস্যায় ভুগতে হয় । আপনরা আজ এ পোস্টে কি করে পর্ণোগ্রাফি,পর্ণো ছবি বা পর্ণো মুভি দেখা বা পর্ণোআসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন সে বিষয় জানবেন ।
সংক্ষিপ্ত ভাবে লেখা হলঃ
ইদানিং দেখা যাচ্ছে ইন্টারনেটে আপনি যত বিষয় সার্চ করবেন তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে পর্নোগ্রাফি। মনোবিদরা বলছেন পর্ণফিল্ম দেখলে কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু প্রতিনিয়ত পর্ন ফিল্ম দেখতে দেখতে বহু মানুষের কাছেই তা নেশা হয়ে উঠে। এক সময় পর্নোগ্রাফিতে প্রবল ভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন তারা। আর তার ফলে নানা রকম মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়।ইতিমধ্যে কিছু
মনোবিজ্ঞানীরা কয়েকটি উপায়েই পর্ন ফিল্মে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে পরামর্শ দিছেন। আমরা যদি কোনও প্রিয়জনের পর্ণফিল্মে অতিরিক্ত আসক্তি কাটাতে চাই তাহলে এই কয়েকটি উপায় ব্যবহার করে দেখতে পারি।
নিজের বিবেকের থেকে ভালো শাসক আর কেউ বড় হতে পারে না।চলুন তাই পর্ন ফিল্মে আসক্তি কমাতে নিজেই একদিন প্রতিজ্ঞা করে ফেলি, যে আজ থেকে আর পর্ণোগ্রাফি দেখব না। একবার ভাবুন পর্ণফিল্মের অতিরিক্ত আসক্তি কী ভাবে আমাদের পেশা এবং সামাজিক জীবনের ওপরে কুপ্রভাব ফেলছে। পর্ন ফিল্মের আসক্তি কি আমাদের অসামাজিক করে তুলছে না?সে আমাদের জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলি উপভোগ করাতে পারছেন না? একবার না বার বার এই প্রশ্নগুলি নিজেকে করুন। এর উত্তর আপনি নিজেই খুঁজে পাবেন। দেখবেন একটি সময় নিজে থেকে ঘৃর্ণায় পর্ণোগ্রাফীর আসক্তি কেটে গেছে।
আরও একটি কার্যকরী উপায় হলোঃ আমাদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের অ্যাডাল্ট যে ছবি বা ভিডিও বা অন্যান্য কনটেন্টগুলো আছে সেগুলো মুছে ফেলতে হবে। আমরা প্রত্যেক পর্ন ফিল্ম আসক্ত ব্যক্তিই পর্ন ভিডিও জমিয়ে রাখি আর তাই আমাদের এমন কোনও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে যা পর্নোসাইট ব্লক করে দেয় বা ওই সব সাইটে প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়। কিংবা ব্রাউসার হিস্ট্রি ক্লিয়ার করে ফেলতে হবে। যাতে ব্রাউজারের হাতের নাগালে ওসব অ্যাড্রেস না থাকে বা না খুঁজে পাওয়া যায় । আর তাতে দেখবেন অনেক সুফলই আপনি হাতেনাতে পেয়েছেন।
কিছু মনোবিদরা আরো বলছেন হাতে কোনও কাজ না থাকলেই পর্ন ফিল্ম দেখার ইচ্ছেটা খুব বেশি বাড়ে। অর্থাৎ কর্মব্যস্ততা না থাকাই হলো পর্নফিল্মের বা পর্ণোসামগ্রীর আসক্তি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারন। তাই তাদের পরামর্শ মতে আমাদের চেষ্টা করতে হবে নিজেকে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রাখা। একা একা কম্পিউটারের সামনে বিনিদ্র রাত কাটানোর অভ্যেস বন্ধ করতে হবে। সে রকম হলে বিছানায় চলে যান ঠিক সময়ে ঘুম আসবে। ঘুম না এলে কোনও ভালো সিনেমা দেখতে হবে নয়ত বা বই পড়ুন। পর্ন ফিল্মের আসক্তি ধীরে ধীরে কেটে যাবে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন যারা বাড়িতে বসে বেশি সময় কম্পিউটারে কাটান তাদের মধ্যে পর্ন ফিল্ম দেখার প্রবণতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই শুধু কম্পিউটারে সময় কাটানো অভ্যাসে পরিণত করবেন না। প্রয়োজনে শখ করে পর্ন ফিল্ম না দেখে অন্য কোনও শখে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যদি কোনও কাজ না থাকে তাহলে নানা ধরনের বই পড়ার অভ্যাস করে তুলুন। নিজেকে কোন লাইব্রেরির সদস্য করুন। দেখবেন ব্যক্তিত্বে অসাধারণ পরিবর্তন আসবে। সবশেষে বলতে হয় আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ইতিবাচক চিন্তাই পর্নফিল্মে আসক্তি থেকে মুক্তি দেয় ।
Comments
Post a Comment